ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের পাঘাচং চান্দপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পুলিশ সদস্য হলেন আমির হোসেন (৩৫)। তিনি সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার মোনতাজ আলীর ছেলে। আহত হয়েছেন এএসআই মনি সংকর চাকমা। ঘটনার সময় তাঁরা সাধারণ পোশাকে ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের একটি মামলায় পাঘাচং চান্দপুর বগাহাটির মুছা মিয়ার ছেলে মামুন মিয়ার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আজ বিকেল পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার পাঘাচং চান্দপুর বাজারে মামুনকে গ্রেপ্তার করতে যান পুলিশের দুই এএসআই আমির ও মনি সংকর চাকমা। এ সময় আসামি মামুনের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মামুন ধারালো ছুরি দিয়ে এএসআই আমিরের বুকে আঘাত করেন। মনি সংকরকেও আঘাত করে পালিয়ে যান। সে সময় অটোরিকশাচালক আলাল এগিয়ে এসে আমিরকে উদ্ধার করেন। পরে মনি সংকর চাকমা আমিরকে গাড়িতে তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আমিরের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক এ বি এম মুসা চৌধুরী জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বুকের বাঁ ও ডান পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অটোরিকশাচালক বলেন, ‘দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন অনেক লোকজন ছিল। কিন্তু কেউ ধরছিল না। লোকজন বলছিল, তিনি পুলিশ সদস্য। আসামি গ্রেপ্তার করতে এসেছিল। ওই আসামি ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে গেছে। পরে তাঁকে ধরে বসানোর চেষ্টা করি। তাঁর সঙ্গে থাকা অপর পুলিশ গাড়ির ব্যবস্থা করলে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা–পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হঠাৎ ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এতে এএসআই আমিরের মৃত্যু হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।