ভারতে উগ্রবাদী হিন্দু সংঘটন "হিন্দু সংহতি" রাস্তায় পোষ্টারিং ও র‍্যালি করছে।

 

দেশ ও জনগণের কল্যাণে


ভারতে উগ্রবাদী হিন্দু সংঘটন "হিন্দু সংহতি" রাস্তায় পোষ্টারিং ও র‍্যালি করছে।

দুইটি স্লোগানে-

১) "ইসলামিক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সনাতনী লড়াই চলছে চলবে" -হিন্দু সংহতি।

২) "বাংলাদেশে বাঙ্গালী নির্যাতন বন্ধ হোক" -হিন্দু সংহতি।


প্রথম কথা হলো- বাংলাদেশের "স্লিপার সেল" হিন্দুদের জাগিয়ে তোলার কাজটি করছে ভারত।

 এটা দিবালোকের মত সত্য। বাংলাদেশেও হিন্দুরা ভারতের উস্কানিতে, ’দাঙ্গা-ফ্যাঁসাদ’ বাধানোর চেষ্টা তদবির করছে। যার জন্য- প্রতিনিয়ত, হিন্দুরা মিথ্যা নাটক মঞ্চস্থ করছে।

এখন কথা হলো, ভারতের সাপোর্টে বাংলাদেশের ’হিন্দুদের স্লোগান’ কি একই রকম না? 

গত ৭ নভেম্বর চট্টগ্রামে মহড়ায়, তো আমরা বিষয়গুলো ক্লিয়ার হয়ে গেছি। তাই ১ নং স্লোগানের প্রেক্ষিতে, আমরা বুঝতে পারছি, বাংলাদেশের হিন্দুদের মূল লক্ষ্য- বাংলাদেশকে ভারতের সাথে যুক্ত করে, হিন্দু রাষ্ট্র- তথা রাম রাজত্ব তৈরি করা। 

হিন্দু নির্যাতন কিংবা সংখ্যালঘু ইস্যু, এইসব শুধু মাত্র অভিনয় ছাড়া কিছুই না।

 মূল উদ্দেশ্য- বাংলাদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে, ’যুদ্ধ’ এবং ইসলামের নাম গন্ধ মিটিয়ে, ’হিন্দু রাজত্ব’ কায়েম করা।

 যার জন্য- দিনকে দিন হিন্দুরা, একের পর এক ভারতের সাহায্যে প্রোপাগান্ডা করে যাচ্ছে। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলেছে, গরু কোরবানি বন্ধের জন্য স্লোগান তুলে শেষে মুসলমানদের জবাই করার স্লোগান তুলেছে।




হিন্দুরা মুসলমানদের বাঙ্গালী বলে স্বীকার করেনা, এটা প্রত্যেক হিন্দুর মনের মধ্যেই রয়েছে।

 ২ নং স্লোগান তাই প্রকাশ করছে। যদিও বাংলা, বাঙ্গলা বা বাঙ্গালাহ যাই বলি না কেন, এর সাথে হিন্দুদের দূর দুরান্ত দিয়েও কোন সম্পর্ক নেই।

 বাঙ্গালাহ নামটি উৎপত্তি মুসলমানদের দ্বারা এবং বাঙ্গালীআনাও মুসলমানদের সাথে সম্পর্কিত।

 সুলতান হাজী শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের সময় থেকে, এই অঞ্চলের নাম করণ করা হয় বাঙ্গালাহ।

 মুলত ইলিয়াস শাহ নিজে "শাহ-এ-বাঙ্গালাহ" উপাধি গ্রহণ করেন। তারপর থেকে এই অঞ্চল কে বাঙ্গালাহ বলা হয়। ভাষার বিবর্তনে, পরবর্তীতে- বাঙ্গালাহ থেকে বাংলা পর্যন্ত এসে ঠেকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এই অঞ্চলের নামকরণ করেন বাংলাদেশ। মুসলমানরা, এই অঞ্চলে প্রবেশের আগে অর্থাৎ ১২০৪ সালের আগে এই অঞ্চল বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত ছিলো।  মুসলমানরা এসে সব রাজ্য একত্রিত করেছেন।

অপর দিকে - "হযরত নুহ আলাইহিস সালাম এর পুত্র হামের জ্যেষ্ঠ সন্তান, হিন্দ হিন্দুস্তানে আসার দরুণ, এই অঞ্চলের নাম তাঁর নামানুসারে রাখা হয়।

 সিন্ধু জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার সাথে এসে, সিন্ধ দেশে বসতি স্থাপন করায়, এই অঞ্চলের নাম তাঁরই নামানুসারে সিন্ধু রাখা হয়। হিন্দের দ্বিতীয় পুত্র বং (বঙ্গ)-এর সন্তানেরা বাংলায় উপনিবেশ স্থাপন করেন।

 আদিতে বাংলার নাম ছিল বঙ। (সূত্র : গোলাম হোসায়ন সলীম : বাংলার ইতিহাস (রিয়াজ-উস-সালাতীনের বঙ্গানুবাদ), আকবরউদ্দীন অনূদিত, অবসর প্রকাশন, ফেব্রুয়ারি ২০০৮, পৃষ্ঠা ২৪)।'

কিন্তু ভারত এবং ভারতের মল-মুত্র ভোগী কিছু দালাল বাংলা সংস্কৃতি এবং বাংলা অঞ্চলকে এক চেটিয়া হিন্দুদের দিয়ে দিতে চায়। যার জন্য ১৯৬১ সালে ছায়ানট তৈরি করে ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায়। যার কাজ বাঙ্গালী আনার নামে হিন্দু সংস্কৃতি প্রমোট করে। 

বাঙ্গালীর নামে রবীন্দ্রনাথের মত পতিতা প্রেমিক কে প্রমোট করে মুসলমানদের মধ্যে ইসলামিক সংস্কৃতির বদলে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি প্রবেশ করায়। বাঙ্গালী ঐতিহ্যের নাম করে, পহেলা বৈশাখের মত হিন্দু পূজা পার্বণ কে মুসলমানদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়।


অর্থাৎ একথা সত্য যে- বাংলা এবং বাঙ্গালীর সাথে হিন্দুদের কোন সম্পর্ক নেই। শুধু মাত্র মুসলমানদের বিরোধীতা করার জন্য, মুসলমানদের অঞ্চল সংস্কৃতি নিজেদের নামে করে নিয়েছে। আমাদের পাঠ্য বই গুলোতেও, হিন্দুদের নামে মগজ ধোলায় করা হয়।

মুসলমানদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি অঞ্চল সব কিছু হিন্দুদের দাবি করা চায়। এটি কেন?

 কারণ তারা সর্বদা মুসলমানদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে। নিজেরা গরুর গোবর মুত খেয়ে থাকলেও, মুসলমানদের নিকৃষ্ট মনে করে। আর ঘৃণার সুরে ডাকে ম্লেচ্ছ। 

অথচ ভারত বাংলাদেশের প্রত্যেক ধুলিকণায় মুসলমানদের নাম লেখা। হিন্দুদের দয়া করে এখানে থাকতে দিয়েছে মুসলিম শাসকগণ।






অতএব, বাংলা বাঙ্গালীর সাথে হিন্দুদের কোন সম্পর্ক নেই।

Rate this article

Loading...

Post a Comment

© আদর্শ টিভি 24/7. All rights reserved.

Cookies Consent

This website uses cookies to ensure you get the best experience on our website.

Cookies Policy

We employ the use of cookies. By accessing Lantro UI, you agreed to use cookies in agreement with the Lantro UI's Privacy Policy.

Most interactive websites use cookies to let us retrieve the user’s details for each visit. Cookies are used by our website to enable the functionality of certain areas to make it easier for people visiting our website. Some of our affiliate/advertising partners may also use cookies.