খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন,
বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে যেভাবে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বলেছিলেন, ঠিক একইভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য রক্ষায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ও গ্রামে-গঞ্জে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ শুক্রবার মুজিব বর্ষ-২০২০ ও চলমান রাজনীতিবিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু একাডেমি এই সভার আয়োজন করে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে আইন, পুলিশ আর সিসিটিভি দিয়ে রক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করি না। সংগঠন ঠিক থাকলে, গ্রামে-গঞ্জে সঠিকভাবে সাংগঠনিক কাজ করলে পুলিশি পাহারার প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে, তারা জানে না, জীবিত বঙ্গবন্ধুর চাইতে মৃত বঙ্গবন্ধু আরও শক্তিশালী ও কঠিন। বঙ্গবন্ধুর প্রাণের স্পন্দন স্বাধীনতার সপক্ষের প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে। আমরা সবাই বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শে বিশ্বাসী।’
বিশ্বের সব জায়গায় ভাস্কর্য আছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মুসলিম দেশগুলোয়ও ভাস্কর্য আছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যত ভাস্কর্য তৈরি হচ্ছে, ততই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতুর মতো উন্নয়ন আর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এতে স্বাধীনতাবিরোধীরা নিজেদের অবস্থান খুঁজে পাচ্ছে না। সেই আতঙ্ক থেকেই তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল আমিন বলেন, যে স্বাধীনতার চেতনা, একাত্মতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, মৌলবাদী চেতনা সেই স্বাধীনতায় কুঠারাঘাত করতে চায়। বাঙালি জাতিকে বিলীন করতে চায়। যে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই চেতনা ও স্বাধীনতাকে একটি গোষ্ঠী এখনো মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের মাস এলেই তারা আঁতকে ওঠে। তিনি বলেন, ভাস্কর্যের মূল অর্থ ও উদ্দেশ্য না জেনেই তারা মৌচাকে ঢিল ছুড়েছে। কাজেই মৌমাছির কামড় তাদের খেতেই হবে।
যেমন কামড় তারা একাত্তরে খেয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু একাডেমির উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অরুণ সরকার, আওয়ামী লীগের নেতা এম এ করিম, মিনহাজুল উদ্দিন, মানিক লাল ঘোষ, সমীরণ রায় প্রমুখ।